সর্বশেষ


Thursday, December 13, 2018

এয়ার সার্কিট ব্রেকার


যে সার্কিট ব্রেকারে বাতাস ( বায়ু ) এর চাপ দিয়ে সার্কিট খোলা ও বন্ধ করার কাজ করা হয় , সেই সার্কিট ব্রেকার কে এয়ার সার্কিট ব্রেকার বলে ।

 প্রকারভেদঃ
এয়ার সার্কিটে আর্ক নিভানোর জন্য বাতাস ( বায়ু ) রাখা হয় । বাতাস (বায়ু ) ব্যবহারের ধরণ অনুযায়ী এয়ার সার্কিট ব্রেকার দুই প্রকার।

১- সাধারণ সার্কিট ব্রেকার
২-এয়ার ব্লাস্ট সার্কিট ব্রেকার

১- সাধারণ সার্কিট ব্রেকার এর গঠনঃ
সাধারণ সার্কিট ব্রেকারের মুল অংশ হিসেবে দুটি লিভার, একটি ইলেক্ট্রিক চুম্বক এবং স্প্রিং থাকে। লিভার দুটি যুক্ত করার জন্য লিভারের প্রান্তে খাঁজ কাটা  থাকে। এক পোলের জন্য একটি, দুই পুলের জন্য দুইটি এবং তিন পোলের জন্য তিনটি কন্ট্যাক পাত, কন্ট্যাক লিভারের সাথে যুক্ত থাকে। কন্ট্যাক লিভারের সাথে একটি স্প্রিং লাগানো হয় , যাতে কন্ট্যাক পাত কন্ট্যাক থেকে আলাদা করতে চেষ্টা করে।

হোল্ডিং লিভারের সাথে একটি স্প্রিং লাগানো হয়, যাতে হোল্ডিং লিভারকে চুম্বকের উল্ট দিকে টেনে রাখে। কারেন্ট চুম্বক কয়েলটি লাইনের সাথে সিরিজে সসংযুক্ত থাকে। আবার কারেন্ট ট্রান্সফর্মারের ও সংযুক্ত থাক্ত পারে । সাধারণত ইস্পাতের দ্বারা বানানো বক্সের ভিতরে সম্পুর্ণ  অংশ থাকে।

প্লাস্টিক দিয়ে নব বা হ্যন্ডেল বানানো হয় ,যা দিয়ে কন্ট্যাক লিভার কে চাপ দিয়ে ব্রেকার নিয়ন্ত্রন করা হয়। নব চাপ দিলে কন্ট্যাক লিভার খাজে আটকে যায় এবংকন্ট্যাক পাত সার্কিট বন্ধ করে। ওভার কারেন্ট প্রবাহিত হইলে চুম্বকের আকর্ষণে হোল্ডিং লিভার নেমে আসে। ফলাফল, স্প্রিং এর টানে কন্ট্যাক লিভার আলাদা হয় এবং সার্কিট বন্ধ হয়ে যায়।

২-এয়ার ব্লাস্ট সার্কিট ব্রেকার:
এয়ার ব্লাস্ট সার্কিট ব্রেকার একটি চীনামাটিরবুশিং এর উপরের ভাগে দুটি স্থির কন্ট্যাক্ট থাকে । এই দুটি স্থির কন্ট্যাক্ট এর মধ্য দিয়ে একটি চলনশীল কন্ট্যাক্টচলাচল করে সার্কিট বন্ধ বা খুলে দেয়। স্থির কন্ট্যাক্ট দুইটি ব্রেকারের টার্মিনাল ।

চলমান কন্ট্যাক্ট দুইটি ব্রেকারের টার্মিনাল। চলমান কন্ট্যাক্ট এর সাথে একটি প্লাঞ্জার থাকেযা নিচের চেম্বারের তল ঘেষে উঠানামা করে ।
বুশিং এর সাথে তিনটি নল লাগানো থাকে । সর্বনিম্ন নলেরমধ্যে বাতাসের চাপবাতাসের চাপ প্রয়োগ করা হলে প্লাঞ্জার উপরে উঠে ব্রেকার বন্ধ করে।মাঝের নলে বাতাসের চাপ দিলে প্লাঞ্জার নিচে ঠেলেদেয় ফলে ব্রেকার খুলে যায় ।

এই মাঝের নলের উপরের মোটা  নলে বাতাস চাপ আর্কের দিকে প্রয়োগ করা হয় এবং আর্ক বাইরে উড়িয়ে নিয়ে যায়।
এয়ার ব্লাস্ট সার্কিট  ব্রেকার আবার ৩ ধরণের হয়ঃ
(i) এক্সিয়েল ব্লাস্ট সার্কিট  ব্রেকার
(ii) রেডিয়েল ব্লাস্ট সার্কিট  ব্রেকার
(iii) ক্রস ব্লাস্ট সার্কিট  ব্রেকার

ব্যবহারঃ
১- বৈদ্যুতিক লাইন কে সাধারণ অবস্থায় অন বা অফ করার জন্য এই সার্কিট ব্যাবহার করা হয়।

২-বৈদ্যুতিক লাইনকে অস্বাভাবিক অবস্থাজনিত ক্ষয় ক্ষতি হতে রক্ষা করার জন্যও এই সার্কিট ব্রেকার ব্যবহার করা হয়। লাইনের কোথাও দোষ  ত্রুটি দেখা দিলে ব্রেকার ট্রিপ করে এবং ত্রুটিপুর্ণ অংশ আলাদা করে দেয়।

৩-সাধারণ এয়ার সার্কিট ব্রেকার ডিষ্টিবিউশন ট্রান্সফর্মারের লোডের দিকে বাসবারে ব্যবহার করা হয় । বিভিন্ন বাস ভবন ,অফিস ,হোটেল রেস্তোরায় অপেক্ষাক্রিত ছোট আকারের  এয়ার সার্কিট ব্রেকার ব্যবহার করা হয়।

No comments:

Post a Comment